মেয়েটির নাম লাবণ্য। আমার ছাত্রী। আমি ওকে পদার্থবিজ্ঞান আর গণিত পড়াই। সপ্তাহে তিন দিন, সন্ধ্যে ৭টা থেকে রাত ৮টা। ভাল ছাত্রী। ছাত্রীর রূপের বর্ণনা দেয়া শিক্ষকের জন্য শোভনীয় নয় তাই সৌন্ধর্যের বিষয়টা উহ্যই থাকুক। তবে বর্ণনা করতে গেলে আমাকে জীবনানন্দ হতে হতো। আমার মনে হয় একমাত্র জীবনানন্দ ছাড়া তার লাবণ্যের নিখুঁত ছবি আর কেউই আঁকতে পারবে না। আমি শামুক প্রজাতির মানুষ, ভেতরে মাখনের মতো নরম হলেও বাইরে একটা শক্ত খোলস আটকে রাখি।তাই সহজে কারো সাথে মিশতে পারিনা, মানুষও আমার সাথে খুব একটা মিশে না। তবে যার সাথে জমে উঠে তার সাথে খোলস ভেঙ্গে ফেলি।
দু মাস না
পেরুতেই তার সাথে
সম্পর্কটা বেশ সহজ
হয়ে এলো। অনেক কথাই হয়, ক্যারিয়ার, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি সব। তার পারিপার্শিক জ্ঞান, সচেতনতা, বাচন ভঙ্গি আমাকে মুগ্ধ করে।
সবচেয়ে বেশি অভিভূত হই তার
নিরবতা আর ব্যক্তিত্বে।
আজ পাঁচ
মাস পূর্ণ হলো,
লবণ্যের
পদার্থবিজ্ঞান
ও গণিতের কোর্স
শেষ।
কয়েকদিন
পরেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। সংগত
কারণে আমারও আজ
শেষ লেকচার ।
-স্যার, শেষের
কবিতা পড়েছেন?
-পড়েছি। অনেকবছর আগে।
-লাবণ্যকে মনে আছে?
-আছে।
-আমি সেই লাবণ্য। অমিতকে ভালবাসি, তবে তাকে বিয়ে করতে চাই না। একজন শোভনলালকে খুঁজছি। স্যার আপনি শোভনলাল হতে পারবেন?
-আমি সেই লাবণ্য। অমিতকে ভালবাসি, তবে তাকে বিয়ে করতে চাই না। একজন শোভনলালকে খুঁজছি। স্যার আপনি শোভনলাল হতে পারবেন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ