Translate

শনিবার, ৭ মে, ২০১৬

দায়

হ্যাঁ । অবন্তির কথাই বলছি ।আমার পরিচিতজনরা সবাই অবন্তির কথা জানে, আপনারা যারা জানেন না তারাও আজকের পর থেকে জানবেন ।

শেষ পর্যন্ত যখন অবন্তি রাজি হল না তখন আমি হাল ছেড়ে দিয়ে একপ্রকার অনুভূতিহীন হয়ে পড়লাম ।অবন্তির বিয়ে হয়ে গেল । আমি বন্ধুবান্ধবসমেত ভরপেট দাওয়াত খেয়ে আসলাম । রাসেল , তমালরা অবশ্য অবন্তিকে তুলে আনার প্রস্তাব দিয়েছিল , আমিই রাজি হইনি । মনের শিকলে যাকে বাঁধতে পারিনি, লোহার শিকলে তাকে বেঁধে কি লাভ ? সদ্য পাশ করা বেকার যুবক আমি , একটা পরিবার বুভুক্ষের মত আমার দিকে চেয়ে আছে , একটা চাকরি যোগার করে যখন তাদের মুখে হাসি ফোটানো দরকার, বৃদ্ধ বাবার কাঁধ থেকে সংসারের জোয়াল যখন কাঁধে নেয়া দরকার তখন কি আর কাউকে তুলে এনে বিয়ে করার মত সঙ্গতি থাকে ? তাও যদি পাত্রী রাজি থাকে, না হয় একটা কথা থাকে । আট বছরের সম্পর্ক বেমালুম ভুলে গিয়ে যে হাসিমুখে বিয়ের আসরে বসতে পারে, তার কাছে করুনার পাত্র হতে কে চায় ? অন্তত আমি চাই না ।ধরুন, অবন্তিকে আমি কোনদিন ভালোই বাসিনি , ভালবাসলে কি আর এভাবে চুপচাপ দাড়িয়ে থেকে তার বিয়ে হয়ে যাওয়া দেখতে পারি ? বিয়ে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া, হৈ-হুল্লোর করে কাটাতে পারি ? অবন্তি এটাই জানুক ।
যদি কোনদিন কোন এক টুকরো সুখের স্মৃতি মনে এসে ওর চোখ ছলছল করে ওঠে , অপরাধবোধ কান্না হয়ে গলার কাছে এসে দলা পাকিয়ে যায় , সেদিন এটাই হবে ওর সান্ত্বনা ।ভালোবাসার দায় থেকে মুক্তির পথ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ধন্যবাদ